শিখণ্ডিত
সোহেল হাসান গালিব
অন্ধকারের রঙে ও রেখায় জেগে উঠল যে ছবি, আমি পাল্টাতে চাই তার আদল—তোমার ভেতর তাপমান-যন্ত্রের মতো নিজেকে ডুবিয়ে এই সত্য লাভ হলো।
দীর্ঘ ধূসর দেয়ালে বেগুনিবর্ণ একটা লম্বা দাগ কেটে চলে গেছে কেউ, সেমিট্রির পাশ দিয়ে, বিষণ্নতা-নাম্নী কোনো একগুঁয়ে বালিকার পিছনে পিছনে। সেই মেয়েটি এ দেশের নয়, তুমিই বলেছিলে। যে দেশে তার বাস, সেখানে শরতে শিশির তুহিন হয়ে ঝরে।
ঐসব আগুলে ছুঁলেই—একবার—কোনোমতে আঙুলে ছুঁলেই—হয়ে যাবে ফ্রিজ—যাকে বলে ররফমুরতি, তুষারতনু। তারপর অণুতে অণুতে প্রিজমের প্রাণ—ছড়িয়ে পড়বে বিবর্ণতা-নাম্নী এক রঙধনু।
আমি কি শুনতে পাব সেই ধনুকের টঙ্কার, প্রবাসের প্রদোষচূড়ায় উঠে কোনো একদিন? আমার একটি বাক্য যার ভগ্ন তির হয়ে ছুটে এসে, হে আলোকতৃণ, পড়েছে পায়ের উপর লুটিয়ে তোমার।