জেসমিন মুননী
নরম মাটির সঙ্গে দেহ মিশে আত্মভিমানে যখন
গোলাপ ফোঁটে; ধারে কাছে কোথাও কোকিল জানান দেয় এখন মধ্যদুপুর।
বাবা পাখি বিশেষজ্ঞ ছিলেন না ;তবুও পাখির ভাষা বুঝতেন।
কিন্তু আমি বুঝি না..
স্কুলের ঘন্টা বেজে উঠবে একটু পর, স্ত্রস্তমুখে
মন্ত্র জপি- দোয়া পড়ি; নিষ্পাপ সন্তান আমার
বোঝে না হারাবার কষ্ট; স্কুল গেটে মাকে না দেখলে কেঁদে উঠবে শিশুর আত্মা।
শ্বেতপাথরের মধ্যখানে উন্মুক্ত ঘাসে, চোখের জল গড়িয়ে পড়ার আগে,
অনেক দিনের মহাস্তব্ধতা, আশে-পাশের টুকরো টুকরো নিঃশব্দতার
বুক চিড়ে – ফুল ছিড়ে কবর সাজাই, আগরবাতি, গোলাপজল, কত কী!
বনানীতে বছর বছর ধরে কবর জিইয়ে রাখা যায়;
ক্ষয়ে যাওয়া এপিটাফে খোদাই করা নামের নীচে;
ব্বংশধরেরা হয়তো ঢুকে যাবো একই প্রাচীন গুহায়!
তবুও
কবর নিয়ে যাদের জাত্যভিমান
তারা শুনতে কী পায় টোটেমদের
আত্মচিৎকার..
না!
দেশ-কাল-জন্ম- মৃত্যু এসব
চিরসত্যের নিচে নিজের ছায়া যখন ছোট হয়ে আসে;
গাঢ় রোদে কবর ছাপিয়ে ওঠা পিতৃত্বের ওম মেখে; বেড়িয়ে পড়ি মাতৃত্বের টানে।