মেঘবৈকল্য কেটে গেছে, নেই আর কোনো ময়ূরশৃঙ্খলও!
সারারাত বৃষ্টিছোবল দেখে দেখে নিজেই হয়ে উঠেছি বৃষ্টিবীজধারা, যেন ঘুমঘোরে অশ্বত্থের ঝুরি বেয়ে নামছি আধ্যাত্মিক ধ্যানের স্রোতে…
খুলে গেছে মাতৃক্রোড় আজ, উন্মুক্ত বাক্স-প্যানডোরাও
যেন টাট্টুঘোড়ার বেগে ছুটছি মৃত্যু তেপান্তরে
সূর্যোদয়ের বৃষ্টিরেণু মেখে যেন নিজেই মিশছি তুরীয় ফল্গুধারায়
.
ধূলিকণা— অগ্নিকুণ্ড জ্বালো, দাঁতাল মিথ্যা ক্রোধে ছুঁড়ে দাও দানবীয় ক্ষুধা
.
জাগো, খুনেবর্ণ! জাগো রঙিন রাক্ষস— এই বর্ষাকুসুমে লক্ষ্মণরেখা এঁকে বের করো ধারালো তীক্ষ্ণ চাবুক
.
তোমাদের এই অমীমাংসিত অন্ধকূপে— ধ্যানী বুদ্ধ হয়ে আমি স্বেচ্ছায় ধরা দিতেই এসেছি
.
দাও—কোটি কোটি থাবা, বজ্র ও আগুন
বাঁচার ঊর্ধ্বে রক্তসিক্ত ক্ষুধা
.
এমন প্রলয় মেশানো নরোম ক্ষুরের আঘাতে ভাসাও, যেন আমি আনন্দ হয়ে নির্বাণপথে মিলি!
আহা, আনন্দে যেন মিশে যেতে পারি
তুলো হয়ে যেন উড়ে যেতে পারি, সমস্ত কূটকৌশলের জটাজাল ছিঁড়ে গুঁড়ো গুঁড়ো
ফিনকি রক্ত হয়ে অক্লেশে লীন হতে পারি যেন এই অফুরান বর্ষাবিভায়…
.
মানুষ পিটিয়ে কতোটা পশুরূপী দানবের মতো কারণে অকারণে ফুঁসে ওঠো, রতিক্লান্ত হায়েনার নির্দয় ধর্ষণে কতোটা নারীমাংসে বীভৎস লোভী হয়ে ওঠো—
তা দেখতে একদিন, একদিন সত্যিই রূপালি মেঘের আস্তরণে মিশে তোমাদের এই রেষারেষি, খুনোখুনিময় জগতে আসবো— তাচ্ছিল্যে, অনন্ত ছাইয়ে পোড়াতে তোমাদের গোপনীয় আগুন আস্তানা!