কবিতাগুলো প্রেমের
জেনিস মাহমুন
একটি প্রশ্ন
ঘুমিয়েছ? এই প্রশ্ন সৃষ্টির আগে ঈশ্বর শূন্যতাকে করেছিল।
ঘুমিয়েছ? সৃষ্টির এই আর্দ্র প্রশ্ন আমি তোমাকে কবে করব?
তোমার ঘুম ভাঙিয়ে ওরা মিটিয়েছে দৈন্য পিপাসা। ওরা পেল নারী।
ঘুমিয়েছ? এই জাদুর প্রশ্ন করে আমি চাই জগৎ:
যেমনটা ঈশ্বর পেয়েছিল!
ঘুমিয়েছ?
১২.১১.২৩
রাত ৮.৩২
তাকে যখন ডাকি
এই ধ্বনি-চিহ্ন বাতাসে জোরে জোরে বড় হতে থাকে
আরও উঁচু কণ্ঠে তাকে ডাকি। নোটেশন চিহ্নের মতো
একেকটি পাখি গাছের পুস্তকের পাতায় পাতায় ছাপা
আছে – ঋতুর যথার্থ কডে তারা বেজে উঠে সাজায়
অর্কেস্ট্রার বাগান। আমি তাকে দিয়েছি মন: চাই হয়ে
উঠতে তার প্রিয় কোনো গান!
২৮.০৮.২৩
রাত ১১.৩৭
স্নান
তোমার খুব ক্ষরিত বয়স: নগ্নতা নক্ষত্রের কষ
ঠোঁটে লেগে গেছে, আঙুলে, চুলে, গরম নিশ্বাস
থেকে ফুসফুসে: ইন্দ্রিয়-তীর্থ কেউ নাই কাছে
কেউ নাই দূরে, শুধু আছে সে: শূন্যে ফিসফাস।
আজন্ম ধৌত করি ধোপা ঘাটে – জলে ভাসা খাটে
দেহে লেগে থাকা তার দপদপে দাগ – ক্ষার আর
ক্ষরিত বয়সে আমাদের সিঞ্চন এক কসমিক
অনুরাগ।
১৮.০১.২৪
রাত ৯.৩৭
পুরাণ পুরান
দুটি স্ফুরিত ফিতা – পাজামার : সর্প-সঙ্গমের বিষ-বিনুনি
কে তাদের ছাড়ায় বল, অনিচ্ছায়? যদি বিশ্বাস রাখ খুনি
সাপে ও মিথের মিথ্যায়, খুলে ফেল ঊরুর বাস্তবতা রচিত
ত্বক, শিখে নাও মনসার স্তবক- সর্প নিজেই এঁকেবেঁকে
তুলে নিবে প্রলোভনের সরল দায়। কে চায়? কে চায় না?
মুনশি কি পামর: ইভের আপেলে বসাতে প্রতিউত্তরি দাঁতের
কামড়?
১৯.০১.২৪
রাত ১১.৪৭
ছোট্ট মৃত্যু
টুকরো টুকরো করে ফেল আমাকে
আশের মতো খুলে এসেছি জামাকে
তরুণ মিঠা মাছ, অতি তরুণ কপি
নিজেদের টুকরার ডাগর সংঘাতে
মিশে যেতে থাকে, যদ্যপি…
টুকরো টুকরো করে ফেল
মন্থনের আগে চাই তুঙ্গ গঠন
গড়াই আগুনে নুনে
মূর্ছনার বুদ্বুদে হই বুঁদ
টুকরো ঠোঁট, টুকরো স্তন:
এই মৃত্যু, অদ্ভুত!
২৪.১০.২৩
দুপুর ১২.৫৯