সমগ্র
ভুলে যেতে চাইনি কিছুই
টুকটুকে রঙের ভেতর থেকে নীলাভ নিবিড়
ছিনিয়ে নিতে চাইনি কখনও
মধ্যরাতের বেহালা বাদন যেদিন গড়িয়ে পড়েছিল
ভোরের বাতাসে
সেদিনই তর্কাতীত এক অন্ধকার দিন
আমাদের নিয়ে গেল করূণ ক্লান্তির পথে
সেদিনই অশ্রুপাত
সেদিনই নিস্তব্ধতার খাপে হৈ হৈ জলন্ত কলরোল।
ভুল বুঝনা প্লিজ! আমিতো তোমার পায়েই পা রেখে
ভেঙেছি ছায়ার প্রপাত।
আমাদের সমগ্র আজ নিম্নগামী শোক
তাকে বয়ে যেতে দাও
মিশে যাক ব্যাকুল কুন্ঠিত সম্মোহনে।
জল ও যন্ত্রণা
ওপ্রান্তের কথা ভেবে তুলেছি জলের বৈঠা
অথচ জলই মুছে দিল উস্কানির আলামত
অস্থির প্রবাহে মিশে গেল অজানার বাঁক
নোঙরের সীমা ক্ষয়ে বেড়েছে যন্ত্রণা, ক্ষত।
কি দেয়ার কথা ছিল? অথবা নেয়ার?
মেলেনি হিসেব সবকিছু অথই জলের ঘোর
একাকী এখন বাড়িয়েছি দু পা
তাই দেখে বেঁকে গেছে পাহাড়ের চূড়ো
বুঝিনি সুরেও ছোবল থাকে জয়ডংকাতেও ফাঁপা।
বর্ণগ্রাম
সশব্দ প্রতীক হয়ে জেগে আছে সময় ও স্মারক
একেকটি দিন একেকটি রাত যেন
নিজেই নিজের হন্তারক।
দুহাতে রক্তের বীজ
আষাঢ়ে গল্পের ফাঁকে বেড়েছে একাকী
ঝরেছে দুচোখে ঝর ঝর
তাকে ধুয়ে মুছে কীভাবে এগুবে?
কীভাবে কাঁদবে?
গলায় ছড়ানো মোহময় ধুলো¯স্বর;
আমাদের বর্ণগ্রাম এতোদিন নিজেই পুড়েছে নিজের আগুনে
শিরায় শিরায় বাজে নিরন্ত মর্মর।
কিশোরীর পায়ে চলা পথ মুঠো মুঠো ঘোর
বহুদিন পর জেগেছে নির্ভার
অপ্রতিরোধ্য অব্যর্থতায় অহিংস প্রীতিতে
ধুলোস্বর ভেঙে আনবে নতুন এই বাঙলায়
বকুল ছড়ানো ভোর।