এতো কথা বললে গুরুত্ব কমে যায় কবিতার
কিছু ফাঁক ও ফোকর থাকা ভালো
কিছু নৈঃশব্দ্য থাকা চাই
প্রতিটি বাক্যের ভিতর থাকা চাই
নিগূঢ় চৈতন্যের কাল
অশেষ চিরায়ত ইতিহাস
এতো দাঁড়ি কমার কী প্রয়োজন
ভুবনচিলের মতো পাঠক উড়ুক শূন্যে
ঘুর্নাবর্তে কাটুক কিছুটা সময়
আলো আঁধারির মায়াজালে
প্রতিটি শব্দই পাহাড়ের মতো স্থির ও বিস্তৃত
প্রতিটি বাক্যই প্রবাহিত নদী
ওপারে চর জাগলে এপারে ভাঙন থাকবেই
প্রেম বোঝাতে কখনো ভালোবাসা লেখো না
দুঃখ বোঝাতে ফেলো না দীর্ঘশ্বাস
ছন্দ ও তাত্ত্বিক থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকা ভালো
ওরা তোমাকে শাসাবে
বনসাই করে দেবে তোমার উদ্ভিন্ন অহম
গোপন বিনয় কিছু যদিও তাদের প্রাপ্য
যে পথে দূরত্ব কমে কাঙ্খিত গন্তব্যের
সে পথে যেও না কখনো
কবিতা দীর্ঘ পথের এক অনন্ত প্রত্যাশা
যেখানে তারপরও তারপর থাকে
কবিতায় একটা পোষা পাখি থাকতে হয়
যার নাম কখনো জানে না সে
যার কন্ঠ কোনোদিন শুনে নি সে
ফুল এঁকে বুক পকেটে রাখতে হয় কবিদের
যেনো সে রঙধনুর গন্ধ পায়
প্রান্তরের কানাভোলা পথে।
লেখক পরিচয়:
অনিন্দ্য জসীম
জন্ম- ১লা মে ১৯৭২
বাবা- মোহাম্মদ ফজর উদ্দিন সরকার
মাতা-জহুরা বেগম
পেশা- শিক্ষক( গণিতে স্নাতকোত্তর)
বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক
গ্রন্থ:
১) মাতালের রাত্রি যাপন( শ্রাবন প্রকাশনী ২০০১)
২) নদী মাতা ঘর( পাঠসূত্র ২০০৮)
যৌথ সংকলন চন্দ্রাবতীর কয়েকজন সন্তান-এর একজন তিনিও
সম্পাদক: একা( কাবিতার ছোটকাগজ)